জিরো থেকে হিরো দীঘিনালার মৎস্যচাষি জনাব মোঃ শাহজাহান
ছবি
ডাউনলোড
জনাব শাহজাহান ১৯৮৬-তে পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় এসে নিজের এক আত্মীয়ের গরুর খামারের শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন। পরবর্তীতে নিজেও গরু পালনের মাধ্যমে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু পূঁজির অভাবে পেরে উঠছিলেন না। ১৯৯৮ সালে মৎস্য অফিসে আসেন মাছ চাষের পরামর্শ নিতে। জনাব অবর্ণা চাকমা, উপজেলা মৎস্য অফিসার (নি.বে) কেবল পরামর্শ প্রদানেই শেষ করেন নাই। চতুর্থ মৎস্য প্রকল্পের আওতায় তাৎক্ষণিকভাবে তাকে হাতে কলমে পোনা প্রতিপালনের প্রশিক্ষণ প্রদান করেছেন। প্রশিক্ষণের সময়ই জনাব শাহজাহানের আগ্রহ ও মনোযোগে প্রীত হয়ে অবর্ণা তৎকালীন দারিদ্র্য বিমোচন প্রকল্প থেকে ৪০ হাজার টাকা ঋণ দিয়েছেন। স্থানীয় একটা মসজিদের পুকুর লিজ নিয়ে শুরু হয়েছিলো শাহজাহানের নতুন অভিযাত্রা। হ্যাঁ, এবারের যাত্রায় তিনি সাফল্যের সাথে এগিয়ে গেলেন। লাভের টাকায় আরো পুকুর লিজ নিয়ে পোনা ও মাছ চাষ করতে থাকলেন। ২০১৪-তে তাঁর ৬টি পুকুর ভরা মাছ; কিন্তু মাছের খাদ্য যোগানের টাকা নাই। আবারো উপজেলা মৎস্য অফিসের সহযোগিতায় স্থানীয় একটি ব্যাংক থেকে ৪ লক্ষ টাকা ঋণ নিলেন, যার গ্যারান্টার হলেন উপজেলা মৎস্য অফিসার (নি. বে.) জনাব অবর্ণা চাকমা। আজ জনাব শাহজাহান একজন বিশিষ্ট মৎস্যচাষি ও উন্নত জাতের গাভী পালনকারি খামারী। এখন তার হয়েছে কোটি টাকার উপরের আদর্শ খামার। দেশের মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি স্বরুপ তিনি কেবল উপজেলা ও জেলা মৎস্য অফিস থেকেই পুরস্কৃত হননি বরং মৎস্য ক্ষেত্রে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি স্বরুপ পার্বত্য শান্তি চুক্তির ২২ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও পার্বত্য জেলা পরিষদ থেকে পেয়েছেন পার্বত্য শান্তি চুক্তির সম্মাননা পদক।
অভিনন্দন
জনাব মোঃ শাহজাহানকে, আপনার দেখানো পথে মাছ চাষ বাড়ুক, দূর হোক বেকারত্ব।
অভিনন্দন
জনাব অবর্ণা চাকমাকে বর্ণিল সাফল্যগাঁথার প্রযোজক হিসেবে নেপথ্যে নিজেকে উৎসর্গ করে সেবা প্রদানের জন্য।